Shebaru

আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ

আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ

আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ

বিশ্বে প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন দিবস পালিত হচ্ছে। তার মধ্যে কিছু জাতীয় দিবস যা একটি দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। আর
অন্য দিবস সমূহ সারা বিশ্বে একযোগে পালন করা হয়। এগুলোকে আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ বলা হয়। আর এই সব গুরুত্বপূর্ণ
দিবস সমূহ এর কিছু কিছু নানা ভাব গাম্ভীর্য আর কিছু উৎসবের মধ্যে পালিত হয়। বিশ্ব দিবস সমূহের প্রচলন নানা ভাবে স্বীকৃত।
কিছু আন্ত্ররজাতিক সংঘটন বা অন্যান্য ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে সবাই একসাথে পালনে মত প্রকাশ করে। আজ আমরা জানব
আন্তর্জাতিকভাবে পালিত এই সকল দিনগুলো নিয়ে।

১. জানুযারি মাসে পালিত দিবস সমূহ

ইংরেজি বছরের প্রথম মাস প্রত্যেক বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত নানা দিবসের
আয়োজন থাকে। আর সেই দিবসগুলো হলঃ

১ লা জানুয়ারি নববর্ষ(ইংরেজি )

ইংরেজি জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনই শুরু হয় নববর্ষ দিয়ে। গ্রেগরীয় বর্ষপুঞ্জ অনুযায়ী এই দিবসের সূচনা হয়। বিশ্বের প্রায় সব
দেশেই এই দিবস নানা উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়। এই দিনকে বছরের সূচনা রুপে মানুষ নানা আয়োজনে পালন করে।
বাংলাদেশেও এই দিনে নানা অনুষ্ঠান এর ব্যবস্থা করে। যাতে প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহন করে।

বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস ২রা জানুয়ারি

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২ জানুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস। আমাদের পুরো পৃথিবীতে জনসংখ্যার সমাঞ্জস্যতা
নেই। কিছু দেশে মাত্রার অতিরিক্ত জনগন আবার কিছু দেশে জায়গা অনুযায়ি জনসংখ্যা একেবারেই নেই। তাই এই অসম জনগন এর
সমাঞ্জস্যতা আনতে জাতিসংঘ এই দিনের সূচনা করে। যাতে প্রত্যেক দেশ এর প্রতি সচেতন হয়। আর তার জনসংখ্যা নিইয়ন্ত্রণে রাখতে
পারে, যাতে জাতি গঠনে তা ভূমিকা পালন করতে পারে।

ব্রেইল দিবস ৪ জানুয়ারি

অন্ধ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্দীরা স্বাভাবিক মানুষের ন্যায় পড়াশোনা করতে পারে না। তারা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে লেখাপড়া করে। আর এই
পদ্ধতির নাম ব্রেইল। বিশেষ এই নিয়মটি চালু করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্দী লুইস ব্রেইল। আর তার এই আবিষ্কারে আজ অন্ধ বা যারা চোখে
দেখতে পায় না তারাও পড়তে ও লিখতে পারছে। আর শিক্ষার সুযোগ নিচ্ছে। ৪ জানুয়ারি তার জন্মদিন। আর তাই তার পরতি শ্রদ্ধা
জানাতে জাতিসংঘ ৪ জানুয়ারিকে বিশ্ব ব্রেইল দিবস ঘোষণা করে।

এছাড়া ২০০৪ সাল থেকে ৪ জানুয়ারি বিশ্ব হিপনোটিজম দিবস বা সম্মোহন দিবস পালন করা হয়। মানুষের মনোযোগ ও আত্মনিয়ন্ত্রন
এর জন্য সম্মোহন এক বিশেষ চিকিৎসা।

আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস ২৬ জানুয়ারি

বিশ্ব শুল্ক সংস্থা ১৯৫৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ২৬ জানুয়ারি পালন করে শুল্ক দিবসটি। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংঘটন যা
বিভিন্ন দেশের আন্তঃ শুল্ক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এটি মূখ্য ভূমিকা পালন করে।

আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস ২৭ জানুয়ারি

১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় প্রায় ৬০ লাক্ষের মত ইহুদী মেরে ফেলা হয়। ভয়ংকর এই দিবসের ভয়াবহতা আজও মানুষের
হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়। আর তাদের স্মরণে জাতিসংঘ এই দিবসের সূচনা করে।

বিশ্ব তথ্য সুরক্ষা দিবস ২৮ জানুয়ারি

বর্তমান পৃথীবি এক বিশাল গ্রামে পরিনত হয়েছে। দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতিতে এখন সব হাতের নাগালে। আর যোগাযোগের এই উন্নতির
ফলে বেড়েছে নানা অপরাধ। আর তথ্য মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। যা মানুষের নিরাপত্তার সাথে জড়িত। আর তাই
এই তথ্য সুরক্ষায় জাতিসংঘ ২০০৭ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্বের নানা দেশে।

এছাড়াও জানায়ারি মাসের শেষ রবিবারে পালিত হয় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। মানুষের মনে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিন পালন
করা হয়। আরো আছে ১০ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দ দিবস

২. ফেব্রুয়ারির পালিত দিবসগুলো

জাতিগতভাবে ফেব্রুয়ারি মাস বাংঙালীর জন্য বিশেষ মর্যাদা বহন করে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের জাতীয় বিশেষ একটি
দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে।

বিশ্ব হিজাব দিবস ১ ফেব্রুয়ারি

হিজাব একটি বিশেষ জাতি গোষ্ঠীর ইমানের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। আর তাই বিভিন্ন ভাবে তারা নানা ধরনের হিংসা ও আক্রমনের
স্বীকার হয়। আর তাই এই হিজাবের মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্য তুলে ধরতে ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীর প্রায় ১৪০ টি দেশে এই দিনটি পালন
করা হয়। আর তা আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রাপ্ত।

জলাভূমি দিবস ২ ফেব্রুয়ারি

১৯৭১ সালে জলাভূমি সংক্রান্ত বিলে সই বা সাক্ষরকে স্মরণীয় করে রাখতে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯৭
সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত, সামাজিক, ও রাষ্ট্রীয় ভাবে জলাভূমির ব্যবহার ও সংরক্ষনে জনগনের সচেতনতা
বৃদ্ধিই এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি

ভালোবাসার জন্য প্রাণ বিনিময় এর উদাহরন অনেক। তেমনি এক ভালোবাসার করুন পরিনতির কারন হিসেবে প্রান দিতে হয় এক
তরুনের। আর তার সেই ভালোবাসার মর্যাদা সুরক্ষায় যোগ দেন চার্চের এক সেবক। আর তারই ফলস্রুতিতে পালিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা
দিবস। আর বর্তমানে তা আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ এর একটি যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস ১৫ ফেব্রুয়ারি

প্রায় প্রতি নিয়তই বিশ্বে শিশু ক্যান্সারের রোগী বাড়ছে। আর ক্যান্সার আক্রান্ত এই শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে ২০০২ সালে চাইল্ড
ক্যান্সার ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে চালু হয় এই দিনটি। যা বর্তমানে উৎযাপন করা হয় সব দেশে। আর জাতিসংঘের

সামাজিক ন্যায় বিচার দিবস ২০ ফেব্রুয়ারি

২০০৭ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে ২০ ফেব্রুয়ারিকে সামাজিক ন্যায় বিচার দিবস ঘোষণা করা হয়। সমাজে বসবাসে প্রত্যেকের
অংশ গ্রহন যেমন জরুরি, তেমনই ভাবে প্রত্যেকের অধিকারও সুরক্ষা করা প্রয়োজন। আর তা যেন সবাই পায় তার জন্য জাতিসংঘ এই
দিবস চালু করে।

আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি

বাংলার মানুষ ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে প্রাণ দিয়েছে। ভাষা সুরক্ষায় এমন আত্মত্যাগ আর কোন জাতি করেনি। আর তাই ভাষার এই
আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের জাতীয়
দিবস সমূহ
এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এটি।

৩. মার্চ এ পালিত গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহ

জাতিগতভাবে মার্চ মাস আমাদের কাছে বেশ স্মরণীয় একটি মাস। তেমনই আন্তর্জাতিকভাবেও এটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই উল্লেখ্যযোগ্য দিবস সমূহ হলঃ

বিশ্ব যৌন নিপীড়ন দিবস ৪ মার্চ

সমাজের নানা ক্ষেত্রে এমনকি পারিবারিকভাবেও মানুষ যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়। নানা প্রতিকূলতায় মানুষ তা প্রকাশ না করে নির্যাতন
সহ্য করে যায়। এতে সামাজিক অপরাধ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। যারই ধারাবাহিকতায় চালু হয়েছে ৪ মার্চ যৌন নিপীড়ন দিবস। যাতে মানুষ্কে এর
বিরুদ্ধে সচেতন করা যায়। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলা যায়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করে। নারীর প্রতি সমাধিকার ও শ্রমের সুষ্ঠূ বন্টণ নিশ্চয়তা নিশ্চিত
করতে এই দিনটি পালিত হয়। নারীরা সমাজে নানা ভাবে অধিকার বঞ্জিত হয়। এই দিনে তাই নারীর অধিকার ও তার মর্যাদার নিয়ে নানা
সভা ও আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বিশ্ব পাই দিবস ১৪ মার্চ

পাই গণিতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর কার্যকারিতা বিভিন্ন ভাবে নির্ধারিত হয়। আর তাই ১৯৮৮ সালে গণিতবীদ ল্যারিশ\’
পাই দিবসের সূচনা করেন। প্রতিবছর ১৪ মার্চ দুপুর ১ টা ৫৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে পালিত হয় এই দিন। বিশ্বের সব গনিতজ্ঞ এই দিনটি
নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে পালন করে দিনটি। এই দিন আইনস্টাইনের জন্ম এবং স্টিভন হকিং এর মৃত্যুও এই দিনে হয়। তাই এই দিনের
গুরুত্ব অপরিসীম।

ভোক্তা অধিকার দিবস ১৫ মার্চ

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬২ সালে ভোক্তার অধিকার নিয়ে ৪ টি মূল বিষয় সম্পর্কে সবার দৃষ্টিপাত করেন। আর
তার এই চারটি বিষয় হলঃ ভোক্তা নিরাপত্তার অধিকার, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার, ও অভিযোগ প্রদানের অধিকার। যা
খুবই প্রয়োজন একজন গ্রাহকের অধিকার নিশ্চয়তার জন্য। পরবর্তিতে ১৯৮৫ সালে আরো ৪ টি অধিকার যোগ করে মোট ৮ টি
অধিকার সুনিশ্চিত করনে ও তার প্রতি সম্মান রক্ষার জন্য এই দিবস পালন করা হয়।

অরণ্য বা বনায়ন দিবস ২১ মার্চ

২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বনায়ন দিবস ঘোষণা করা হয়। বিশ্বে বন ও বনভূমি সুরক্ষায় এই
দিবসের সূচনা হয়। বনায়নের ভূমিকা ও তা ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে নানা কর্মসূচীতে এই দিন উৎযাপন করা হয়। এছাড়া এই দিনে আরো পালিত হয় বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। ১৮৬৬ সালে ব্রিটিশ ডাক্তার জন এই রোগ সনাক্ত করেন।
আর তার পরে এই দিনে ডাউন সিনড্রোম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই দিবস পালন করা হয়।

বিশ্ব পানি দিবস ২২ মার্চ

১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ব পানি দিবস ২২ মার্চ পালন করা হয়। পানির ব্যবহার, সমবন্টন, সুরক্ষায় মানুষকে
সচেতন করাই এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। আর তাই আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ গুলোর মধ্যে এটি খুবই অর্থবহ ভূমিকা পালন করে।

আবহাওয়া দিবস ২৩ মার্চ

১৯৫১ সালে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার সূচনা হয়। আর তাদের উদ্যোগে ২৩ মার্চ আবহাওয়া দিবস পালন করা হয়। আবহাওয়া
পরিবর্তন ও তার গতি বিধি নিয়ে জনগন ও রাষ্ট্রকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে এই দিনটি পালন করা হয়।

যক্ষা দিবস ২৪ মার্চ

প্রাচীন কালে যক্ষা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ ছিল। রোগ প্রতিরোধের প্রতিওষুধ না জানায় প্রায় মানুষ এই রোগে মারা যেত। আর তাই
পরবর্তিতে এর সচেতনতা বাড়াতে ও মানুষকে যক্ষা নিয়ে ভয় ভাংগাতে এই দিন চালু করা হয় বিশ্ব যক্ষা দিবস হিসেবে।

এছাড়াও ২৭ মার্চ আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনিস্টিটিউট এর আহ্বানে বিশ্ব নাট্য দিবস পালন করা হয়। এবং ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক নেফ্রোলজি
সোসাইটি মার্চের শেষ বৃহস্পতি বারে পালন করে কিডনী দিবস। বর্তমানে নানা প্রান্তে প্রতিদিন মানুষ কিডনী সংক্রান্ত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে
নিজের সচেতনতার অভাবে। তাই এই দিনটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালনে সচেষ্ট উদ্যোগ নেয়।

৪. এপ্রিল মাসের আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ

আন্তর্জাতিক দিবস সমূহের মধ্যে সারা বিশ্বে পালিত হয় ৭ এপ্রিল পালিত হয় স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এর যত্নে করনীয় ভূমিকা পালনে
সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে প্রতিটি দেশ। প্রতি বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে জনগনের সংস্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয় এই দিনটি।
জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় ১৯৭০ সালে বিশ্বের ১৯৩ টি দেশে পালন করা হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। নানা আয়োজন ও সভা- সেমিনারের মাধ্যমে এই
দিনটি উৎযাপন করে সমগ্র পৃথিবী। বই নিয়ে মানুষকে আরো সচেতন হতে এবং এর প্রকাশনা ও অন্যান্য কাজে আরো যত্নবান হতে বিশ্ব বই দিবস এর সূচনা হয় ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল।
এছাড়াও ২ রা এপ্রিল জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। যাতে মানুষ অটিজম
আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সাধারন মানুষের ন্যায় দেখে। আর স্বাভাবিক ব্যবহার করে, তাদের সমাজের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হতে সাহায্য করে।

২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে ২৫ এপ্রিলকে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস ঘোষনা করা হয়। যাতে মানুষ এই মহামারি নিয়ে
আরও সচেতন হয়। জাতিসংঘের এই ঘোষনায় বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এই দিবস পালন করা হয়।

৫. মে মাসের বিশ্ব দিবস সমূহ

১ লা মে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করা হয় পৃথিবীর প্রায় সব দেশে। শ্রমিকের শ্রমের অধিকার নিশ্চিত করনের জন্য এই উদ্যোগ। আর
তারই ধারাবাহিকতায় পালিত হয় বাংলাদেশেও মহান মে দিবস নানা আয়োজনে। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে ৩ মে কে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম দিবস ঘোষণা করা হয়। সাংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষায় এই দিনের সূচনা। আর নানা আয়োজনে এই দিন পালন করা হয় সমগ্র বিশ্বে।

১০ ও ১১ মে বিশ্ব পরিযায়ী দিবস:
আবহাওয়া পরিবর্তনে পাখিদের খাদ্য ও বাসস্থান এর সংকট দেখা গিয়েছে। যার ফলে ঋতু পরিবর্তনে এক প্রান্ত থেকে পাখিরা অন্য প্রান্তে
ভ্রমন করে। তবে ভিন্ন পরিবেশে পাখিদের জীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনেস্কো এর উদ্যোগে ২০০৬ সালে ১০ ও ১১ মে কে বিশ্ব পরিযায়ী
দিবস
পালন করে। জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য পৃথিবীর সব দেশে শান্তি সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আর তাই ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা দিবস পালন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে এই দিনের সূচনা হয়।

৬. জুন মাসে পালিত আন্তর্জাতিক দিবস

বিশ্ব পরিবেশ দিবস৫ জুন: আমাদের পৃথিবীতে যদি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান কিছু থাকে, তবে তা পরিবেশ নির্দিধায় বলা যায়। আর তাই এই পরিবেশকে কিভাবে
সুন্দর ও ভালো রাখা যায় তা নিয়ে মানুষকে জানাতে পালিত হয় ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতি বছরই নানা প্রতিপাদ্য নির্ধারন করে
জাতিসংঘ। আর তাদের এই প্রয়াসে মানুষকে পরিবেশের গুরুত্ব ও এর ভূমিকা বুঝাতে পালন হয় নানা অনুষ্ঠান ও র‍্যালী।
বিশ্ব খরা ও মরুকরন প্রতিরোধ দিবস১৭ জুন : ১৭ জুনকে বিশ্ব খরা ও মরুকরন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয় পৃথিবীর নানা প্রান্তে।

শিল্প কেন্দ্রীক জীবনের জন্য মানুষ এই পৃথিবীকে নানাভাবে ধ্বংস করছে। আর তার ফলে বাড়ছে খরা ও মরুভূমি। যার জন্য মানুষের নানা দূর্ভোগ হচ্ছে দিনে দিনে।
আর তা রুখতে ও সচেতন করতে পৃথিবী বাসিকে এই দিন পালন করা হয়। শারিরীক ও মানুষিক শান্তির জন্য প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষ বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে চালু হয় যোগ ব্যায়াম। আর এর প্রসার ও প্রচার দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
আর তাই ২০১৪ সালে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় ও আহ্বানে জাতিসংঘ ২১ জুনকে বিiশ্ব যোগ দিবস ঘোষণা করে।

৭. জুলাই মাসের গুরুত্বপূর্ণ দিবস

১৯৯৫ সালের ২ জুলাই ইন্টারন্যাশেনাল স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশনের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্বে নানা দেশে পালন করা হয়
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস। এই ধরিত্রীতে প্রতি নিয়তই বাড়ছে জনসংখ্যা। কিন্তু সেই হিসেবে বাড়ছে না সম্পদ ও খাদ্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষ। আর তাই জনসংখ্যা নিয়ে মানুষের ধারণা বাড়াতে ১১ জুন পালন করে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

এছাড়াও ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৩০ জুলাইকে “বিশ্ব বন্ধু দিবস” হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা
জানতে মূলত এই দিনটি পালন করা হয়। মানুষ তার কাছের মানুষদের এই দিনে স্মরণ করে। আর সবাই মিলে আড্ডা আর গল্পে দিনটি
অতিবাহিত করে।

৮. আগস্ট মাসের আন্তর্জাতিক দিনগুলো

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ৭ আগস্ট: প্রতি বছর ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদগ্ধ দিবস বা সপ্তাহ পালন করা হয়। যা পৃথিবীর প্রায় ১২০ টি দেশ পালন করে।
শিশুর জন্য মায়ের দুধের উপকারিতা ও এর ফলে শিশুর বৃদ্ধিতে তা কি সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেই সম্পর্কে সচেতন করতে এই দিবস।
২০১০ সালে থেকে এই বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ চালু হয়।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ৯ আগস্ট: আদিবাসীরা হল একটি দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আর তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ১৯৯৪
সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে ৯ আগস্ট পালন করা হয় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস।

আন্তর্জাতিক যুব দিবস ১২ আগস্ট : জাতিসংঘের জনসচেতনতা মুলক একটি দিন হিসেবে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ১২ আগস্ট পালন
করা হয়। যুব সমাজকে দেশ ও পৃথিবীর প্রতি আরো সচেতন হতে এবং নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেষ্ট হতেই মূলত এই পদক্ষেপ।

জন্মাষ্টমী- ১৯ আগস্ট: জন্মাষ্টমী একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী।
বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয় এবং সরকারী বন্ধ থাকে।

ফেসবুক স্ট্যাটাস: আজ জন্মাষ্টমী। পবিত্র এই দিন হিন্দু ভাই বোনদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক!

বিশ্ব মশক দিবস – ২০ আগস্ট: এনোফিলিশ মশার জন্য ম্যালিরিয়ার রোগের প্রতিরোধক তৈরি করেন চিকিৎসক রোনাল্ড রস।
আর তার এই আবিষ্কারের সম্মান জানাতে চালু হয় ২০ আগস্ট বিশ্ব মশক দিবস।
মশা বাহিত রোগ নিয়ে মানুষকে জানাতে আর এর প্রতিরোধে করনীয় কি তা বুঝাতে এই দিবস চালু হয়।
যেখানে নানা সেমিনার ও সভা দিয়ে দিবসটি উৎযাপন করা হয়।

৯. সেপ্টেম্বরে উৎযাপিত দিনগুলো

সেপ্টেম্বর মাস আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কারন এই মাসে নানা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে সমগ্র বিশ্ব একযোগে পালন করে। আর এই মাসে পালিত দিন সমূহঃ

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ৮ সেপ্টেম্বর

ইউনোস্কোর অধীনে ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস রুপে ঘোষণা করা হয়। সমাজে শিক্ষার
বিস্তার, প্রসার ও এর প্রয়োগের উপকারি কত তা যেন সবাই উপলব্ধি করতে পারে সেই জন্যই এই দিনটি সমগ্র বিশ্বে একযোগে পালন
করা হয়।

গনতন্ত্র দিবস ১৫ সেপ্টেম্বর

সাধারন পরিষদের বৈঠকে ১৫ সেপ্টেম্বরকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গনতন্ত্র দিবস ঘোষণা করে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গনতন্ত্রের
বিকল্প নেই। তাই সেই গনতন্ত্রের চর্চা ও তার অধিকার নিয়ে জন মত তৈরিতে এই দিন পালন করা হয়।

ওজন স্তর সুরক্ষা দিবস

বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বায়ু স্তর হল ওজন স্তর। আর এর সুরক্ষার উপর পৃথিবীর অস্তিত্ব নির্ভর করছে। ওজন স্তরের যেকোন
ক্ষতির ফলে মানুষ সরাসরি নানা দূর্ভোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাই এই ওজন স্তর সুরক্ষায় ১৬ সেপ্টেম্বর এই দিনটি পালন করে সবাই।

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

১৯৮১ সাল থেকে জাতিসংঘের উৎযোগে ২১ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। বিশ্ব শান্তি ও সুরক্ষায় সব দেশ যেন
অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও সব হানাহানি ও যুদ্ধ ভুলে সব জাতি ও রাষ্ট্র যেন এক যোগে শান্তিতে বসবাস করে তারই জন্য এই দিনটি
প্রচলন করা হয়।

বিশ্ব পর্যটন দিবস

প্রতিটি দেশের অর্থনীতি কোন না কোন ভাবে জড়িত পর্যটন শিল্পের সাথে। আর তাই বিশ্ব পর্যটন সংস্থার উদ্যোগে জাতিসংঘের ভূমিকায়
১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব পর্যটন দিবস ঘোষণা করা হয়। পর্যটন শিল্পকে অন্যন্য ভূমিকায় নিতে এবং এর প্রসারে ভূমিকা
রাখে এই দিনটি।

বিশ্ব জলাতং দিবস ও আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস

২৮ সেপ্টেম্বর একই সাথে বিশ্ব জলাতং ও আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবস দুটোর প্রতিপাদ্য ভিন্ন হলেও তা এক
সাথে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কুকুর, শিয়াল, বাদুর, সহ অন্যান্য উষ্ণ প্রাণির আক্রমনে ভাইসার দ্বারা মানুষের শরীরে এক রোগের সৃষ্টি
হয়। আর একে জলাতং বলে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। আর তাই এই দিনটি চালু হইয়েছে মূলত।

এছাড়া মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ এর একটি হল এই তথ্য অধিকার দিবস।
সবার তার নিজের ও আশেপাশে ব্যক্তি, ও জাতির অধিকার সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞাণ থাকা বাঞ্জনীয়। আর তারই সুবাদে এই দিনের প্রচলন।

তাছাড়াও সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবারে পালিত হয় বিশ্ব নদী দিবস। নদী প্রতিটি দেশের পানীয় জলের জন্য প্রয়োজনীয় ও মূখ্য ভূমিকা রাখে।
আর তাই নদী সুরক্ষায় ও এর ব্যবহারে মানুষের উদ্যোগ বাড়াতে এই দিনটি চালু হয় ১৯৮০ সাল থেকে। তখন এটি পালন করে ব্রিটিশ
কলম্বিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি। পরবর্তিতে ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘ ও এই দিন উৎযাপন করে।

১০. অক্টোবরের গুরুত্বপূর্ণ দিবস

বিশ্ব ব্যাপী অক্টোবর মাসে নানা দিবস পালন করা হয়। আর এই দিবস সমূহ নানা ভাবে সমাজ, দেশ, ও মানুষকে প্রভাবিত করে। আর অক্টোবরে পালিত এই দিন স্মূহ হলঃ

  • আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ১ অক্টোবর
  • বিশ্ব নিরামিষ দিবস ১ অক্টোবর
  • বিশ্ব শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর
  • আন্তর্জাতিক ডাক দিবস ৯ অক্টোবর
  • বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ১০ অক্টোবর
  • আন্তর্জাতিক দৃষ্টি দিবস ১৩ অক্টোবর
  • বিশ্ব ডিম দিবস ১৪ অক্টোবর
  • আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস ১১ অক্টোবর
  • বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ১৫ অক্টোবর
  • বিশ্ব খাদ্য দিবস ১৬ অক্টোবর
  • আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস ১৭ অক্টোবর
  • বিশ্ব রজঃ ক্ষান্তি দিবস ১৮ অক্টোবর

১১. নভেম্বরে পালিত বিশ্ব দিবসগুলো

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস: আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ২০০৭ সাল থেকে ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। বর্তমান পৃথিবীর প্রায় সব দেশই ডায়াবেটিস সমস্যায় জর্জরিত। মানুষ এই নিয়ে অসচেতন। আর তাই দিন দিন এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই দিবসের সূচনা।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস: ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস

বিশ্ব টয়লেট দিবস: ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস

বিশ্ব শিশু দিবস: ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস

১২. ডিসেম্বরের আন্তর্জাতিক দিন সমূহ

বছরের শেষ মাসেও নানা দিবস প্রচলন আছে। এই দিবসগুলো নানা অর্থবহন করে। আর ডিসেম্বরে পালিত দিবসগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলঃ

বিশ্ব এইডস দিবস ১ ডিসেম্বর

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্দী দিবস ৩ ডিসেম্বর

মানবাধিকার দিবস: ১০ ডিসেম্বর

বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। অতপর ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

জাতীয় দিবস সমূহ

আশাকরি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আরো সচেতন হবেন সমগ্রভাবে পালিত দিন সমূহের প্রতি। কারন এইগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ব
ভ্রাতৃত্ব ও মেল বন্ধনের সুযোগ। এছাড়াও আপনি আরো পড়তে পারেন জাতীয় দিবস সমূহ নিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি। আর জেনে
নিতে পারেন আমাদের দেশের সব দিবসগুলো। যা পালিত হয় নানা র‍্যালী, সভা, সেমিনার ও উৎসব আয়োজনে।

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top
× How can we help you?